না, নবজাতকের শরীর মাসাজের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের দেশের মায়েরা বা বয়জেষ্ঠ্যরা নবজাতক শিশুকে উৎসাহিত হয়ে , প্রতিদিন মাসাজ করা উচিত বলে মনে করেন। তাদের ধারনা, নবজাতক শিশুর শরীর মাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে, হাড় মজবুত হবে, হাত – পা সোজা হবে ইত্যাদি। কিন্তু এই ধারণাটি মোটেই সঠিক নয়, এবং এর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই।
- জন্মের পর নবজাতক শিশুর শরীরে ভারনিক্সের প্রলেপ থাকে যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। যদি সেসময় শিশুকে মালিশ করা হয় তাহলে ভারনিক্সের প্রলেপ উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে, যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
- নবজাতক শিশুর মাসাজ করার জন্য বিবিধ ধরনের তেল, লোশন, ঘি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়, যা একেবারেই উচিত নয়। জন্মের পর শিশুর ত্বক থাকে খুবই সংবেদনশীল, এসময় এসব উপকরণ ব্যবহারের ফলে শিশুর শরীরে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া উদ্রেক করতে পারে। আবার মাসাজের কারণে শিশুর লোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এতে ত্বকে ফোঁড়া উঠতে পারে।
- স্বাভাবিক কারণে নবজাতক শিশুর মাংসপেশির টান একটু বেশি থাকে, যার কারণে শিশুর হাত – পা সোজা থাকে না, ভাঁজ অবস্থায় থাকে। এছাড়া শিশুর শরীরের হাড়গুলো ও নরম থাকে। এসময় শিশুকে মালিশ করে হাত পা সোজা করা বা মজবুত করা একেবারে অনুচিত, এতে শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিঃদ্রঃ নবজাতক শিশুকে মালিশ করালে, শিশুর ভালো হবেই না বরং খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে চিকিৎসকদের মতে, প্রথম একমাস শিশুকে তেল, সাবান, পাউডার, ক্রিম, কাজল ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিত নয়। ২ মাস পর থেকে অলিভ অয়েল দেওয়া যেতে পারে, তবে সরিষার তেল,বাদামের তেল শিশুকে দেওয়া যাবে না।