(আনুমানিক পড়ার সময় ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড)
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু অতিরিক্ত চিন্তার কারণ। কেননা গর্ভবতীর সাথে যুক্ত তার গর্ভস্থ সন্তান। একারনে গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা এবং প্রস্তুতি। গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু হলে মা ও গর্ভের সন্তানের যেসকল সমস্যা দেখা দিতে পারেঃ
- ডেঙ্গু হলে জ্বর অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় মায়ের হৃদস্পন্দনের তারতম্য হওয়ায় শিশুর হৃদপিণ্ডের গতিরও তারতম্য ঘটে।
- জ্বরের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মায়ের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং শরীরের শিরা উপশিরাগুলো প্রসারিত হয়। একারণে শিশুর দেহে মায়ের শরীর থেকে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এতে মায়ের গর্ভে বাচ্চার মৃত্যুও হতে পারে।
- তলপেটে ব্যাথা হতে পারে।
- সঠিক পুষ্টি না পাওয়ার কারণে বাচ্চার ওজন কম হতে পারে।
- সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যেতে পারে।
- জন্মের পরও বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি থাকে।
- ডেঙ্গু জ্বর কোনো মাকে আক্রমণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- রক্ত জমাট বাঁধায় সহযোগী অনুচক্রিকা (Platelet) কমে যায়। প্রসবকালে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মায়ের মৃত্যুও হতে পারে।
সাবধানতাঃ
- বাড়ীর আশপাশ পরিষ্কার রাখুন
- আশেপাশের জমাবদ্ধ পানি অপসারণ করুন
- মশারি টানিয়ে ঘুমান
- হালকা রঙের ফুল হাতা কাপড় পড়ুন
- প্রয়োজনে মশানাশক ঔষধ ব্যাবহার করুন
- ঘরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী থাকলে তাকে মশারির মধ্যে রাখুন
- এডিস মশা সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য যে কোনো সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনের বেলায় সাবধানে থাকতে হবে।
করণীয়ঃ
- ডেঙ্গু হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে
- যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হবে
- কিছুক্ষণ পরপর পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন, স্বাস্থ্যসম্মত জুস, লেবুর শরবত ইত্যাদি খেতে হবে
- খাওয়ার রুচি না থাকায় পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাদ্য যেমন সুপ, খিচুড়ি, সেদ্ধ সবজি ইত্যাদি খেতে হবে
- ভেজানো কাপড় কিংবা স্পঞ্জ ব্যবহার করে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন
- রক্তচাপ (স্বাভাবিক- ১২০/৮০) এবং Platelet count (স্বাভাবিক- ১,৫০,০০০ হতে ৪,৫০,০০০) নজরদারিতে রাখতে হবে
- রক্তদানকারী এবং চিকিৎসাকেন্দ্র ঠিক করে রাখা। প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করে রাখা।
চিকিৎসাঃ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী